হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, লেবাননের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী ইসরায়েল আবার আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করলে তার কঠোর জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ। সংগঠনটির হাজার হাজার সফল অভিযানে দিশেহারা হয়ে তেল আবিব হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হওয়ার পর বুধবার এ হুশিয়ারি দেয় প্রতিরোধ আন্দোলন।
হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, লিতানি নদীর দক্ষিণে অন্তত ৩০০টি প্রতিরক্ষা লাইন স্থাপন করেছে সংগঠনটি। এসব লাইনে মোতায়েন যোদ্ধারা উচ্চ মাত্রায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে এবং তাদের কাছে রয়েছে উপযুক্ত সমরাস্ত্র ও অত্যাধুনিক সাজ-সরঞ্জাম।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসলামি প্রতিরোধ অপারেশনস রুম নিশ্চিত করছে যে, বিভিন্ন সামরিক সক্ষমতার অধিকারী যোদ্ধারা ইসরায়েলি শত্রুর উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও হামলা মোকাবেলা করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত থাকবে।”
এতে আরো বলা হয়, হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের চোখ সীমান্তের ওপারে শত্রু বাহিনীর গতিবিধি এবং পশ্চাদপসরণকে অনুসরণ করতে থাকবে এবং লেবাননের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার পাশাপাশি এদেশের জনগণের মর্যাদা ও সম্মানের স্বার্থে তাদের হাত সার্বক্ষণিকভাবে ট্রিগারে থাকবে।
এর আগে আমেরিকার মধ্যস্থতায় মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি দিয়ে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় ইহুদিবাদী ইসরায়েল। বুধবার সকাল থেকে ওই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। দুই মাস মেয়াদি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে বলা হয়েছে, ৬০ দিনের অন্তর্বর্তী সময়সীমার মধ্যে ইসরায়েলি বাহিনী লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। সেখানে লেবাননের সরকারি বাহিনীর পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন থাকবে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার ওপর ভয়াবহ আগ্রাসন শুরু করে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সেদিন থেকেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে আসছে হিজবুল্লাহ। তাদের হামলায় উত্তর ইসরায়েলের অন্তত ৬০ হাজার ইহুদিবাদী অভিবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এছাড়া, গোটা ইসরায়েল জুড়ে হিজবুল্লাহর সাম্প্রতিক হামলায় দিশেহারা হয়ে পড়ে তেল আবিব।
আপনার কমেন্ট